করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নিম্নোক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে
১। করোনা( কোভিড-১৯) সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে লকডাউন কালিন সময়ে বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকলের চুক্তির আওতায় চলাচলকৃত ২০০টির অধিক জাহাজ ভারতের কোলকাতাসহ অন্যান্য বন্দর হতে মালামাল নিয়ে ভারতে আটকা পড়ে। করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে এ পর্য়ন্ত ২২৩টি জাহাজের নাবিকগণের যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
২। করোনা( কোভিড-১৯) সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে সারাদেশে ২৪ মার্চ থেকে সকল প্রকার যাত্রীবাহী নৌ-যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। যাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকলে ও প্রত্যেকটি জাহাজে নিয়োজিত মাস্টার/ ড্রাইভার সহ সকল স্টাফদের নিয়মিতভাবে বেতন-ভাতাদি প্রদান করাসহ মালিকগণ কর্তৃক জাহাজে নিয়োজিত কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ করেছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে জাহাজের নাবিক ও তাদের পরিবারবর্গকে খাদ্য সামগ্রীও সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানা যায়। এরুপ পরিস্থিতিতে নৌযান মালিকগণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত খাতের ন্যায় নৌ সেক্টরেও শ্রমীকদের বেতন ভাতা বাবদ ব্যয়কৃত অর্থ প্রণোদনা হিসাবে প্রদানের আবেদন করে পত্র দিয়েছে ।
৩। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ও স্থাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নিদের্শনা অনুযায়ী ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাটে ৪টি লঞ্চ (এমভি কুয়াকাটা-১, এমভি পারাবাত-১২,এমভি প্রিন্স অব আওলাদ-৭, এমভি সুন্দরবন-৭) এবং উপকুলীয় এলাকার জন্য আমতলীতে একটি জাহাজ (এমভি হাসান হোসেন-১) কোয়ারেনটাইন ইউনিট হিসাবে প্রস্তুত রাখা আছে।
৪। বরিশাল নদী বন্দরে এভি সুরভী-৮ নৌযানটিকে স্থানীয় জেলা প্রশাসন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইন শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক কোয়ারেনটাইন ইউনিট হিসাবে প্রস্তুত রাখা আছে।
৫। পটুয়াখালীতে এমভি এ আর খান-১ নৌযানটিকে স্থানীয় জেলা প্রশাসন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইন শৃংখলা বাহিনী কর্তৃক আইসোলেশন ইউনিট হিসাবে প্রস্তুত রাখা আছে।
০৬। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নৌপথে পণ্য পরিবহনে কার্গো মালিকদের সহিত আলোচনা সভা করা হয়। তদানুযায়ী নৌযান শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে নৌপথে পণ্য পরিবহন চলছে।
০৭। বিভিন্ন নদী বন্দরে মালমাল লোডিং আনলোডিং কাজে নিয়োজিত শ্রমিক/লেবারদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি পালনে তদারকি ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
০৮। মাঠ পর্যায়ে বিআইডব্লিউটিএর কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।
৯। বন্দর রাজস্ব সহ বিভিন্ন খাতে বকেয়া আদায়,ব্যয় নিয়ন্ত্রণ এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনায় পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
১০। ইতিমধ্যে ঢাকা নদী বন্দরে মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শ্রমিকদের খাদ্য বিতরণ করা হয়। তাছাড়াও বরিশাল নদী বন্দরে প্রতিদিন শ্রমিক ও দিন মজুরদের খাদ্য বিতরন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
১১। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রধান অফিস এবং শাখা অফিস সমূহের দাপ্তরিক কার্যক্রম সীমিত আকারে চালু রাখা হয়েছে।