Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ মার্চ ২০২০

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক এর সভাপতিত্বে এবং সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম এর উপস্থিতিতে গত ১০-০৩-২০২০ খ্রিঃ তারিখ মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ঢাকাস্থ কদমতলী থানার মুন্সিখোলা ঘাটে ছয়টি জেটি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন


প্রকাশন তারিখ : 2020-03-11

 

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক এর সভাপতিত্বে এবং সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম এর উপস্থিতিতে গত ১০-০৩-২০২০ খ্রিঃ তারিখ মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি  ঢাকাস্থ কদমতলী থানার মুন্সিখোলা ঘাটে ছয়টি জেটি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন ।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন,  করোনা ভাইরাসের কারণে জনসভা পরিহারে সরকারে নির্দেশনার আলোকে আজকের (১০ মার্চ, মুন্সিখোলায়) সমাবেশ করা হয়নি ।

 

ঢাকার চারপাশের নদীগুলো ঢাকার প্রাণ। এগুলোতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ফিরিয়ে এনে ঢাকাকে আবাসযোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,  ঢাকার চারপাশের নদীগুলোসহ দেশের অন্যান্য নদীর দখল ও দূষণরোধে প্রধানমন্ত্রী ‘টাস্কফোর্স’ গঠন করে দিয়েছেন । পাশাপাশি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধিন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ঢাকার চারপাশের নদীর দখল ও দূষণরোধে কাজ করে যাচ্ছে ।

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নদী তীরে জেটিগুলো নির্মিত হলে নৌপথে পরিকল্পিতভাবে পণ্য উঠনামা করা যাবে। নদীতীর দখলরোধে নির্মিত ওয়াকওয়ে (পায়ে হাটার পথ) ক্ষতিগ্রস্থ হবেনা, নদী তীর দখল ও দূষণ বন্ধ হবে। নদী তীর দখল ও দূষণরোধে ঢাকাবাসি আমাদের সাথে থাকবেন। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম আমাদেরকে সহযোগিতা করছে। ঢাকাকে রক্ষা করতে হলে এর চারপাশকে রক্ষা করতে হবে। নদী তীর দখল ও দূষণরোধ কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে; তারপরও এগিয়ে যাব ।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে ১০ হাজারের বেশি সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে; এগুলোর মধ্যে তিন হাজার সীমানা পিলার দৃশ্যমান হয়েছে। অতীতে কোন সরকার নদীর তীর রক্ষার কাজে দৃষ্টি দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে নদী রক্ষায় কার্যক্রম গ্রহণ করেন। সেসব কর্মসূচি চলমান থাকলে নদী রক্ষায় এত বেগ পেতে হতোনা। ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতায় এসে প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে। তারা হিংসা বিদ্বেষের রাজনীতি করেছে। তারা উন্নয়নের দিকে নজর দেয়নি। দেশকে এগিয়ে নেয়ার কোন পরিকল্পনা তাদের ছিলনা। শেখ হাসিনার সরকার নদী রক্ষায় দৃঢ়প্রতিঞ্জ। এ সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হবো ।

 

উল্লেখ্য, বুড়িগঙ্গা তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৯টি ভারী জেটি নির্মাণের লক্ষ্যে আজ ছয়টি জেটি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ছয়টির মধ্যে মুন্সিখোলায় একটি, পাগলা বাজার এলাকায় দু’টি, মিরপুরের বড়বাজার/সিন্নিরটেক, গাবতলী ও রামচন্দ্রপুর এলাকায় একটি করে জেটি হবে। প্রতিটি জেটির আয়তন হবে ৪,০০০ বর্গফুট।

 

ছবি দেখুন...