নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ১ আগস্ট ২০২০ মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রতিমন্ত্রী এসময় বলেন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ফেরিরুটে পরীক্ষামূলকভাবে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করবে । শিমুলিয়া থেকে দু’টি রো রো ফেরি পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে আনার ফলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিরুটে জট তৈরি হয়নি। শিমুলিয়ায় আরেকটি ফেরিঘাট নির্মাণের জন্য বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক এবং বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান খাজা মিয়া। পরবর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউস, পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন এবং প্রতিমন্ত্রীর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন ।
পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে প্রায় মাসখানেক ধরে শিমুলিয়া ঘাট হয়ে নৌচলাচল ব্যাহত হচ্ছে । দিনের বেলায় সীমিত আকারে ফেরি চললেও রাতে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ ছাড়া স্রোতের কারণে ফেরিগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। নদী পারাপারে তিন গুণের বেশি সময় লাগছে।
পদ্মার তীব্র স্রোত ও ভাঙনের কবলে পড়ে শিমুলিয়ার তিন নম্বর ফেরিঘাটটি বিলীন হয়ে যায়। পন্টুনটি ঘাটের অবস্থান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া ফেরিঘাটটির সংযোগ সড়ক, বিআইডাব্লিউটিএর নির্মিত খাবারের দোকান, মসজিদ এসব তলিয়ে যায়। পদ্মার তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যায় পদ্মাসেতুর কনস্ট্রাকশান ইয়ার্ডের কিছু অংশ। পরে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালানো হয় । এছাড়া, বিকল্প নৌরুট ব্যবহারের অনুরোধ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।