Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি. ৮ ডিসেম্বর ২০২০ ঢাকার শ্যামপুরে বিআইডব্লিউটিএ'র ভাসমান ডকে বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ ‘ধ্রুবতারা’ এর আনডকিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন । এসময় সাথে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক ।


প্রকাশন তারিখ : 2020-12-08

 

নদীর জায়গা কেউ অবৈধভাবে দখল করে উন্নয়নের সুযোগ পাবেনা -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

শ্যামপুর (ঢাকা) ০৮ ডিসেম্বর;

 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীর জায়গা দখল করে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা সরকার পছন্দ করেনা। নদীর জায়গা কেউ অবৈধভাবে দখল করে উন্নয়নের সুযোগ পাবেনা। নদী তীরের জায়গা দখলরোধে সরকার সঠিক পথে এগুচ্ছে। নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বিআইডব্লিউটিএ’র কার্যক্রমে হাইকোর্টে সন্তুষ্ট এবং দেশবাসীও সন্তুষ্ট।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার শ্যামপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র ভাসমান ডক পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ মহামারীর কারণে উচ্ছেদ কার্যক্রম ধীরগতিতে চললেও বর্তমানে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ধারাবাহিকভাবে কাজ করা হবে। নদী তীরের সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে। নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিতে চাই।

 

শ্যামপুরে আজ ভাসমান ডকে বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ ‘ধ্রুবতারা’ এর আনডকিং করা হয়। ধ্রুবতারা জাহাজ দিয়ে অভ্যন্তরীণ এবং উপকূলিয় নৌপথের বিভিন্ন রুটে নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচলের জন্য বয়া-বিকন স্থাপন ও প্রতিস্থাপনের কাজ করা হয়ে থাকে।

 

বিআইডব্লিউটিএ’র ভাসমান ডকটি ১৯৬৭ সালে জার্মানীতে নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৬৮ সালে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। ভাসমান ডকটিতে একটি ৫ টন ক্ষমতা সম্পন্ন ক্রেন, দু’টি ১৫০ কেভিএ জেনারেটর, ০৪টি ক্যাপষ্টান রয়েছে। জলযান ডকিং এর পর মেরামত কাজ করার জন্য ১৩টি ওয়েল্ডিং রেগুলেটর রয়েছে। ডকটিতে যে কোন জলযানের আন্ডার ও ওয়াটার অংশ এবং প্রপালশন ইউনিটসহ যেকোন অংশের মেরামত কাজ করা খুবই সুবিধাজনক। ৮০০ টন পর্যন্ত ওজনের যে কোন ফ্লোটিং স্ট্রাকচার যার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ভাসমান ডকের রানওয়ের বেশি নয় সে সকল জাহাজ, ড্রেজার, বার্জ পন্টুন ইত্যাদি ভাসমান ডকে ডকিং এবং আন-ডকিং করা যায়।

 

ভাসমান ডকে বিআইডব্লিউটিএ’র এবং অন্যান্য সংস্থার জলযানের জরুরি মেরামত কাজ সম্পন্ন করা হয়। প্রয়োজনে ভাসমান ডকটি মুভ করে অন্যস্থানেও জরুরি মেরামত কাজ করতে সক্ষম। ভাসমান ডকটি ২০০২ সালে বরিশাল থেকে নিয়ে এসে ঢাকার শ্যামপুরে স্থাপন করা হয়। ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ ডকটিতে ৭৫টি জলযান ডকিং এবং আন-ডকিং করা হয়েছে। ভাসমান ডকটি বিআইডব্লিউটিএ’র তথা বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।