Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ নভেম্বর ২০২০

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক গত ১৮-১১-২০২০ তারিখ নারায়নগঞ্জ নদী বন্দর পরিদর্শন করেন । এ সময় তিনি বিআইডব্লিউটিএর নারায়নগঞ্জস্থ স্থাপনা, ড্রেজিং কার্যক্রমসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড সরেজমিনে ঘুরে দেখেন ।


প্রকাশন তারিখ : 2020-11-18

 

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক গত ১৮-১১-২০২০ তারিখ নারায়নগঞ্জ নদী বন্দর পরিদর্শন করেন । এ সময় তিনি বিআইডব্লিউটিএর নারায়নগঞ্জস্থ স্থাপনা, ড্রেজিং কার্যক্রমসহ সার্বিক কর্মকাণ্ড সরেজমিনে ঘুরে দেখেন । 

 

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন,  নদী মাতৃক বাংলাদেশ।সারা দেশে বিস্তৃত নদী নালা খাল বিল।নদী কেন্দ্রীক বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নৌপথের উন্নয়নের  উপর অনেকটা নির্ভরশীল।সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা  গড়ার প্রত্যয় নিয়ে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  ১৯৭২ পরবর্তী স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ  পুনর্গঠন এর  দায়িত্ব নেন ।   যুদ্ধবিধ্বস্ত  একটি দেশের  সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা  ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল । দেশ পুনর্গঠন এর দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে  বঙ্গবন্ধু  সর্বপ্রথম যোগাযোগ ব্যবস্থাকে  সচল করার  উদ্যোগ গ্রহণ করেন ।   তুলনামূলক  সাশ্রয়ী এবং সহজ  যোগাযোগ  মাধ্যম  নৌপথ  উন্নয়নের  রূপরেখা প্রণয়ন করেন ।  তিনিই   নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব  নিজ হাতে রাখেন  এবং বাংলাদেশের সর্বপ্রথম  ০৭  টি   ড্রেজার  সংগ্রহ করেন  যেগুলো  এখনো  সচল রয়েছে  এবং ড্রেজিং কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ।  ১৯৭৫ পরবর্তী  সময় থেকে  বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত  নৌপথের  উন্নয়নে  তেমন কোনো  অগ্রগতি হয়নি ।  সংগৃহীত হয়নি  আর কোন  নতুন ড্রেজার ।  বরং,  এ সময়ে  একটি দেশের নৌপথ   দূষণ,  দখল ,  নাব্যতা হ্রাস  ইত্যাদি নানাবিধ কারণে  সংকুচিত হয়ে  নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা  অচল  হওয়ার উপক্রম হয়েছিল ।  কিন্তু  বর্তমান সরকারের  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ ও  ২০০৯ সনে  ক্ষমতায় এসে  পুনরায়  নৌপথের  উন্নয়নে  মনোনিবেশ করে এবং নৌপথ উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেন  যার মধ্যে রয়েছে   রূপকল্প ২০২১,   রূপকল্প ২০৪১   এবং  ডেল্টা প্ল্যান ২১০০.  নৌপথের উন্নয়নে  স্বল্প,  মধ্য ও দীর্ঘ  মেয়াদী  পরিকল্পনা  গ্রহণ করে  বাস্তবায়ন করা হচ্ছে  নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প । নদীর নাব্যতা  ফেরানো,  নদী দখল এবং দূষণ রোধ  রোধ করে  নদীর তীরবর্তী এলাকার  নান্দনিক সৌন্দর্য  বৃদ্ধি  কল্পে  বর্তমান সরকারের  বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে । 

 

বর্তমান সরকার ২০১৮ সনের  নির্বাচনী ইশতেহারে  সারাদেশে ১০০০০  কিলোমিটার  নৌপথ খননের  অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ।   এরই ধারাবাহিকতায়  ইতোমধ্যে   প্রায় ২২০০ কিলোমিটার নৌপথ  খনন করা হয়েছে ।    সরকারি এবং বেসরকারি  ড্রেজারের মাধ্যমে   চাহিদা অনুযায়ী খননকাজ  করা সম্ভব হচ্ছে না ।  এজন্য বর্তমান সরকারের উদ্যোগে  ১০   ড্রেজার  এবং ২০  ড্রেজার  সহ ১৫৯টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ করা  হয়েছে । বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজার বহরে ৪৫ টি ড্রেজার রয়েছে।আরও ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া,  বর্তমান সময়ের চাহিদা বিবেচনায়    দক্ষ নৌকর্মী  গঠনে  বরিশাল এবং মাদারীপুরে  নৌ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র  স্থাপন করা হয়েছে । নৌকর্মী প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে যা প্রশিক্ষণ কাজে ব‍্যবহার হবে।