Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ নভেম্বর ২০২০

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি গত ১০-১১-২০২০ রাজধানীর সদরঘাটে ‘ওয়াটার বাস’ সার্ভিস পরিচালনা ও যাত্রীসেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন । তিনি ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা এবং ওয়াটারবাসে শ্যামবাজার থেকে ওয়াইজঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন । এ সময় তিনি বলেন, সরকার ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথে আধুনিক ও নান্দনিক জলযান নামানোর চিন্তা করছে । এখাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে ।


প্রকাশন তারিখ : 2020-11-10

 

যাত্রিসেবায় বেসরকারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর আহবান

ঢাকা, ১০ নভেম্বর;

 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, সরকার ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথে আধুনিক ও নান্দনিক জলযান নামানোর চিন্তা করছে। তিনি বলেন, এখাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর সদরঘাটে ‘ওয়াটার বাস’ সার্ভিস পরিচালনা ও যাত্রীসেবা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান খাজা মিয়া এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কারও জীবিকার ওপর হাত দিতে চাই না; জীবনটা নিরাপদ করতে চাই। যাত্রীসেবা দিতে বেসরকারি উদ্যোক্তারা এখানে কোনো ধরনের বিনিয়োগ করতে চাইলে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাব। তিনি বলেন, এখন শুধু জীবন ও জীবিকার জন্য এ নদীপথ ব্যবহার হচ্ছে। এর সাথে বিনোদনের জন্য এই নদীকে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যাত্রিসেবাগুলো আরো আপগ্রেড করার জন্য চেষ্টা করছি। এজন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আমরা উৎসাহিত করছি। আমরা চাই সব ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসুক। বেসরকারি উদ্যোগের জন্য আজ যাত্রী সেবায় অনেক বিলাসবহুল জাহাজ এসেছে। আমরা চাই বাংলাদেশের বেসরকারি পর্যায়ের বিনিয়োগ আরও বিস্তৃতি লাভ করুক। সেজন্য সরকার তাদের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিবে।

 

যাত্রী পারাপার নিরাপদ করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা। এ সচেতনতামূলক কাজগুলো আগে খুব দুর্বলভাবে হয়েছে সে কারণে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেজন্য বিআইডব্লিউটিএ’র মাধ্যমে মূল বন্দরের দু’ পাশ থেকে ‘ওয়াটার বাস’ চালু করেছি। যেগুলো আগে ঢাকার চারপাশের নৌরুটে চলত। এজন্য এখানে যারা ডিঙ্গি নৌকা চালায় তাদের সাথে কথা বলেছি। তাদের এ বিষয়ে সম্মতি রয়েছে। পাশাপাশি যাত্রী সাধারণেরও ভাল সাড়া পাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা এই ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক করব। তবে সহসাই (ওভারনাইট) কোনো কিছু করা যায় না। ধীরে ধীরে করছি এবং এটা কি রকম ফলপ্রসূ হচ্ছে সেজন্য আজ পরিদর্শনে এসেছি। আর সদরঘাটের সুবিধাগুলো আরও বেশি আধুনিকায়ন করছি, এটা চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গার পাড়ের ডকইয়ার্ডগুলো সরাতে বিআইডব্লিউটিএ একটি খসড়া চূড়ান্ত করছে এবং শিঘ্রই সে বিষয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

দুপুরে প্রতিমন্ত্রী কেরানীগঞ্জের হাইস্পীড শিপইয়ার্ডে বিআইডব্লিউটিসির জন্য দু’টি ফেরির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। ফেরি দু’টি আগামি বছরের এপ্রিলের মধ্যে পাওয়া যাবে। মিডিয়াম সাইজের প্রতিটি ফেরিতে ১২টি করে বাস-ট্রাক এবং ১০০ জন কর যাত্রি পারাপার করা যাবে। ফেরি দু’টি নির্মাণে ব্যয় হবে ২১ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

 

বিকালে প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর দৈনিকবাংলা মোড়স্থ বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ভবনে বিএসসি’র ৩০৬তম বোর্ড সভায় সভাপত্বি করেন।