Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ জুলাই ২০২০

১৩/০৭/২০২০ তারিখ মুজিব বর্ষে ঢাকার চারিপাশের নদীর তীরভূমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি.। এসময় তিনি উচ্ছেদ পরবর্তী বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের তীররক্ষা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে বিরুলিয়ায় বৃক্ষরোপন করেন । বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটএ’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ নৌপ্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে ছিলেন।


প্রকাশন তারিখ : 2020-07-13

 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, নদীর সীমানা চিহ্নিত জায়গা পুনর্দখল করলে আরো বেশি অপরাধ হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে কেউ এ ধরনের দুঃসাহস দেখাবেন না। নদী তীর দখলকারীরা শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান ছিল, আমরা তাদেরকে দখলদার হিসেবে দেখেছি।

 

নদী তীর দখলমুক্ত করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা ও সমর্থনের কারণে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটএ নদী তীর দখলমুক্ত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ উচ্ছেদ পরবর্তী বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের তীররক্ষা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে বিরুলিয়ায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার চেয়ে অন্য কেউ বেশি অনুভব করে না। নদীর প্রবাহ ঠিক রাখা, দখলমুক্ত করা এবং জীবন জীবিকার চাহিদা পুরণে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। তিনি নদী তীর দখলমুক্ত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা নদী তীরের প্রায় ৯০ ভাগ দখলমুক্ত করতে পেরেছি। সীমানা পিলার দৃশ্যমান, পাকা দেয়াল এবং ওয়াকওয়ের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের কাজের কলেবর বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে সংশোধিত প্রকল্প পাঠানো হয়েছে, সেটি অনুমোদিত হলে নদী তীরের কাজগুলো আরো বেশি টেকসই হবে। ২০২৩/২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, উদ্ধারকৃত জায়গায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম ধারাবহিকভাবে চলমান থাকবে। সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। নদী রক্ষা, দখল ও দূষণরোধ এবং পরিবেশের উন্নয়নে মাস্টারপ্লান অনুমোদিত হয়েছে। মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন করতে পারলে শুধু ঢাকার চারপাশের নদী নয়, ঢাকার মধ্য দিয়ে নৌ চলাচল সম্ভব হবে।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী মাতৃক বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে মর্যাদার আসনে নিতে কাজ করছি। সরকার শত বছরের ডেল্টা প্লান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন, ঢাকার চারপাশের নদীসহ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব বাংলাদেশকে মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছে। তাঁর নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সুস্থধারায় ফিরিয়ে এনেছি । নদী ও নৌপথ সচল রাখতে কাজ করতে পারব।

 

অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অনল চন্দ্র দাস, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটএ’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ নৌপ্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে ছিলেন।